Header Ads

আলোর পথে আপনাকে স্বাগতম। আলোর পথের লেটেস্ট আপডেট পেতে সঙ্গেই থাকুন।

যে কাজগুলো করলে রোজা ভেঙ্গে যায়

রোজা ভাঙার কারণ গুলি হল,

প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক নর-নারীর উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে। কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া রোজা ভাঙা হারাম।
আসুন জেনে নেই যেসব কারণে রোজা ভঙ্গ হয়।
পানাহার ও ধূমপান
কেউ যদি রোজা থাকা অবস্থায় কোন প্রকার পানাহার বা ধূমপান করে তাহলে নিঃসন্দেহে তা রোজা ভঙ্গের একটি কারণ হবে। ডুবে ডুবে জল খাওয়ার মতো করে যদি কেউ সবার অজান্তে লুকিয়ে পানাহার করে সেক্ষেত্রেও রোজা ভেঙ্গে যাবে। কারণ আর কেউ না দেখুক, আল্লাহ তাআলা ঠিকই দেখছেন। তবে কেউ যদি অনিচ্ছাকৃত ভাবে পানি খেয়ে ফেলে বা অন্য কোন খাবার খেয়ে ফেলে তাহলে রোজা ভাঙ্গবে না।
ওযু করার সময়
ওযু করার সময় গড়গড়া করা যাবে না। আর নাকে পানি দেওয়ার সময় সাবধান থাকতে হবে যেন পানি ভেতরে চলে না যায়। ইচ্ছাকৃত ভাবে পানি ঢোকালে রোজা ভেঙ্গে যাবে, অনিচ্ছাকৃত হলে সেটা আলাদা।
স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হলে
রোজা রাখা মানে শুধু পানাহার থেকে না, ইন্দ্রীয় তৃপ্তি থেকেও নিজেকে বিরত রাখা। সেই অর্থে রোজা থাকা অবস্থায় যদি কেউ সহবাস করে তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। এক্ষেত্রে তাকে কাজা ও কাফফারা দুটোই করতে হবে।
হস্তমৈথুন
হস্তমৈথুন বা অন্য কোনভাবে যদি কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে বীর্যপাত ঘটায় তাহলে তা রোজা ভঙ্গের কারণ হবে। এক্ষেত্রে যদি কেউ কামভাবে স্ত্রীকে স্পর্শ করার মাধ্যমেও বীর্যপাত ঘটায় তাহলেও রোজা ভেঙ্গে যাবে। তবে স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভাঙ্গবে না।
ঋতুস্রাব
রোজা রাখা অবস্থায় যদি মহিলাদের মাসিকের রক্ত দেখা দেয় তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। এমনিভাবে প্রসবজনিত রক্ত প্রবাহিত হতে থাকলে রোজা নষ্ট হয়ে যায়। এক্ষেত্রে যে কয়টি রোজা নষ্ট হবে সে কয়টি পরে কাজা করে নিতে হবে।
ইনজেকশন নিলে
ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে জীবনী শক্তি বৃদ্ধি করার জন্যে কিংবা অন্য কোন কারণে শরীরে ওষুধ প্রবেশ করানো হলে রোজা ভেঙ্গে যাবে।
ইচ্ছকৃত বমি করলে
ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করে গলধ:করণ করলে, তা রোযা ভঙ্গের কারণ হবে।

রোজা ভঙ্গ না হওয়ার কারণসমূহ

এমন কিছু কাজ আছে, যার দ্বারা রোজার কোনো ক্ষতি হয় না। ফলে এমন কোনো কাজ হয়ে গেলে রোজা ভেঙ্গে গেছে মনে করে ইচ্ছাকৃত পানাহার করে। সুতরাং এসব বিষয়ে রোজাদারদের অবগত হওয়া জরুরি।
  1. অনিচ্ছাকৃত গলার ভেতর ধুলা-বালি, ধোঁয়া অথবা মশা-মাছি প্রবেশ করা।
  2. ০২. অনিচ্ছাকৃত কানে পানি প্রবেশ করা।
  3. ০৩. অনিচ্ছাকৃত বমি আসা অথবা ইচ্ছাকৃত অল্প পরিমাণ বমি করা (মুখ ভরে নয়)।
  4. ০৪. বমি আসার পর নিজে নিজেই ফিরে যাওয়া।
  5. ০৫. চোখে ওষুধ বা সুরমা ব্যবহার করা।
  6. ০৭. ভুলক্রমে পানাহার করা।
  7. ০৮. সুগন্ধি ব্যবহার করা বা অন্য কিছুর ঘ্রাণ নেয়া।
  8. ০৯. নিজ মুখের থুথু, কফ ইত্যাদি গলাধঃকরণ করা।
  9. ১০. শরীর ও মাথায় তেল ব্যবহার করা।
  10. ১১. ঠাণ্ডার জন্য গোসল করা।
  11. ১২. মিসওয়াক করা। যদিও মিসওয়াক করার দরুন দাঁত থেকে রক্ত বের হয়। তবে শর্ত হলো গলার ভেতর না পৌঁছানো।
  12. ১৩. ঘুমের মাঝে স্বপ্নদোষ হলে।
  13. ১৫. স্ত্রীকে চুম্বন করলে, যদি বীর্যপাত না হয় (রোজা না ভাঙলেও এটা রোজার উদ্দেশ্যের পরিপন্থী)।
  14. ১৬. দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা গোশত খেয়ে ফেললে (যদি পরিমাণে কম হয়), পরিমাণ বেশি হলে রোজা ভেঙে যাবে।

আসসালামুয়ালাইকুম সুধীমণ্ডলী আমাদের নিত্য নতুন আপডেট পেতে লাইক এবং শেয়ার করুন


No comments

Powered by Blogger.